
ডেস্ক রিপোর্ট::
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি। টানা ১৬ দিন ধরে তিনি নগরীর প্রবর্তক মোড়ের বেসরকারি ক্লিনিক ‘সিএসসিআরে’ ভর্তি আছেন। ১৮ মে রাতে হার্টবিট (হৃদস্পন্দন) কমে গেলে ৯৮ বছর বয়সী আল্লামা শফিকে হাটহাজারী থেকে শহরের এ ক্লিনিকে এনে ভর্তি করা হয়।
২৩ মে থেকে গেল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ১০ দিন তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়েছিল। এসময় তার শরীরে দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটা পেসমেকার (এক ধরনের ডিভাইস যেটি অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে) লাগানো হয়। শুক্রবার তাকে ক্লিনিকটির ৭০৫ নম্বর কেবিনে স’ানান্তরিত করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস’া পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার সর্বশেষ শারীরিক অবস’া পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের সভা বসে।
সভা বসার আগে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইব্রাহিম চৌধুরী গতরাতে ফোনে সুপ্রভাতকে বলেন, পেসমেকার লাগানোর পর উনার (আল্লামা শফি) অবস’া কিছুটা ভালোর দিকে। তবে এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয়। মেডিক্যাল বোর্ডের সভায় তার শারীরিক অবস’ার বিষয়ে পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তে পৌছবো।
ড. ইব্রাহিম চৌধুরী জানান, আল্লামা শফি কথা বলতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-ধাওয়াও করতে পারছেন না। নাকে নল দিয়ে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, হাটহাজারী দারুল উলূম মুইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফি দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত। এছাড়া তার লিভারেরও সমস্যা রয়েছে।
এদিকে হেফাজত ইসলামের নেতারা আল্লামা শফির এমন গুরুতর অসুস’ থাকার খবর অনেকটা চেপে রেখেছেন। গত কয়েকদিন ধরে সংগঠনটির নেতারা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আল্লামা শফির জন্য নেতাকর্মী ও তার ভক্তদের কাছে দোয়া কামনা করছেন।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী সুপ্রভাতকে বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও হুজুরের দেশ-বিদেশে অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন। হুজুরের গুরুতর অসুস’তার কথা শুনলে সকলে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। এতে হুজুরের চিকিৎসায় ব্যঘাত ঘটবে। তাই আমরা বিষয়টা যতটা সম্ভব চেপে রাখছি। তবে হুজুর অসুস’ এটা কম-বেশি সবাই জানেন।
জানা গেছে, ১৬ দিন ধরে হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা হাসপাতালে গিয়ে সংগঠনের আমীরকে দেখে আসছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হেফাজতের অনেক নেতাও তাকে দেখতে এসেছেন।
পাঠকের মতামত